শুধুই আলোর গল্প
শুভ্রা ভক্ত
দুপুর থেকে টিপটিপ বৃষ্টি
পড়ছে,
বারান্দার রেলিং ধরে ছোট্ট
মেয়েটি বৃষ্টি
থামার অপেক্ষায়।
বিকেলেও কি বৃষ্টি পরবে
নাকি?
ডাক্তার দাদু বলেছিল, রথের মেলায়
তাকে কাঁচের চুড়ি কিনে
দেবে।
বৃষ্টি, বৃষ্টি, বৃষ্টি!
হাত বাড়িয়ে বৃষ্টিকে আদর
করে মেয়েটি বললো,
'দুষ্টু মেয়ে, এখন তুই যা। বিকেলে তুই ফিরে আসিস
না যেন!
স্কুল বেলায় আসিস, ঘুঙুর দেব। পায়ে পরে রিমঝিম করে ঝরবি।'
ডাক্তার দাদু, তার আলো! তার জ্ঞান!
কতবার ডাক্তার দাদুর কাছে 'পুরাতন ভৃত্য'
শুনে মন খারাপ করেছে! কল্পনায় আড়চোখে,
গিন্নীমা কে ঘৃণা করেছে!
বৃষ্টি থেমে গেছে।
রথের মেলায় অনেক ভিড়ে
আলোর মুখ।
আলো আমার আলো ওগো, আলোয় ভূবন ভরা--
আলো নয়ন ধোয়ায় আমার, আলো হৃদয় হরা।
ডাক্তার দাদু!
কাছে এসে একটা আঙুল ধরে
সাবধানে কয়েক পা।
তারপর রামধনু রং কাঁচের
চুড়ি!
লাল, নীল, হলুদ, সবুজ। কাঁচের চুড়ি।
রঙিন আলো।
এই আলো নেভেনা। নেভেনি
কোনোদিন!
আলোর মত ফর্সা,সাদা ধবধবে চুল,
হাতে সঞ্চয়িতা। বলেছিল, " বড় হয়ে তুই
'ইচ্ছামতী ' শোনাবি, বড়ো ভালো লাগে!"
ছোট্ট মেয়েটির আলো।
তাকে কখনো কবিতা শোনানো
হয়নি মেয়েটির।
তবে সেই আলো আজও নেভেনি।
নেভেনা কোনোদিন।!
প্রত্যেক বছর রথের দিনে সব
আলো জ্বালিয়ে দেয়--
মনে মনে বলে--
যখন যেমন মনে করি,তাই হতে পাই যদি
আমি তবে এক্ষনি হই, ইচ্ছামতী নদী।
No comments:
Post a Comment