গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা--
সোনালিকার সাথে দেখা
আমার ছোটবেলাকার বন্ধু সোনালিকা__
হঠাৎ অনেকদিন পর দেখা হওয়ায়
আমায় জিঞ্জেস করলো....
কেমন আছিস এখন?!
আমাদের আর 'থাকা-না-থাকা'রে ভাই....
গাছের ডালে কিম্বা ঘরের কোন্দরে বাসা বাঁধছে চড়াই....
আর জলে -ভেজা -কাকের মতো
নারকেল গাছের মাথায় বাসা বেঁধে
আমরা " তা" দিচ্ছি কোকিলের ডিমে... তুই?!
তাই...!
মৃত নই অবশ্যই জীবিত...
কারণ দেখতে পাই...
গাছে গাছে কাঁঠাল পেকেছে..
শুনতে পাই বন্য-শেয়ালের হুক্কা -হুয়া ডাক্
এবং সাঁওতাল পাতা-ফাঁদে গাছ থেকে নেমে আসা কাঠবেড়ালী
যেমন ধরা পড়ে ছট্ পট্ করে..তেমনি..!
ছোটবেলাকার সুন্দর স্বর্গটা তবে
কোথায় পালাল রে "সোনালিকা'?!
আরে,ওটা আলনায় বাসি জামা-কাপড়ের
কিম্বা রান্না ঘরের চিংড়ি -ভাজা গন্ধের সাথে
বা শ্মশানে মানুষ দাহজনিত উড়ুক্কু ধোঁয়ার সাথে
ক্রমশঃ নির্বাসিত হয়েছে...!
----------------------------------------
"হে প্রিয়তমা, বিপন্নতায় এসো.."
-----------------------------------------
নীল ও কালো'র মৃদুমন্দ রঙ ও রেখার
আলো- ছায়ায় ঘুরছে জীবন ক্রমাগত,
কুঁকড়ে গেছে শামুক-খোলে সবটুকু আশ,
জাগছো প্রহর সংশয়ে'তে অবিরত।
বিপন্ন তো তুমিও জানি, অকূল-পাথার,
আষ্টেপৃষ্টে জড়াও আমায়, কাটবো সাঁতার।
দাদা কীভাবে শেয়ার করবো। অনেক ভালোবাসা শ্রদ্ধা জড়িয়ে
ReplyDelete