দুটো কবিতা- সকাল
রয়
চন্দ্রাকপোত
আঁচলের গিঁটে
কুমারী রেখেছিল ইচ্ছেফরিঙ পথ
রঙমশাল সিঁথিতে
তার, ললাটে চন্দ্রাকপোত
ছিল চোখ নগরে
নিদ্রামনি বস্ত্রহীন এক বাঈ
পাশ ফিরলেই আধেক
ঘুমের স্বপ্নকবজ নাই!
পারিজাত বন পিঠ
নদীতে, ক্রমশ প্রগলভতা;
ধূমযোনি তার
নাভিমূলে গহীনে দোহদী বারতা
হাতের দু’পিঠ বালুরাজময় উল্টে দিলেও সাগর
আধেক জীবন সুখময়
বাকিটা দুঃখপাথর!
চুলের গাঙে
রাহুগ্রাহ খেলা অধরায় রেনুসার
বাগাড়ম্বর হীন
কণ্ঠে ছিল মাদকময় মনিহার
রুপোর বাক্সে
ধনিকাপুতুল অপূর্ব প্রার্থনাতে
পুরোহিত সময়-অসময়ে
বলে পৌরুষ বিকোতে ।
ছিলেম নিরম্বু এক
জড় মানবরাজ, উদাসীন যার বেশবাস
তিরস্কারের
রক্তাক্ত পরিনতি হলো তাহার রুদ্রাবাস
আজ চোখ নগরে আমার
নিদ্রামনির বস্ত্রহীন এক বাঈ
পাশ ফিরলেই আধেক
ঘুমের স্বপ্নকবজ নাই!
বুঝিনি আঁচলের ঘরে
রেখেছিলে রক্ষাকবজ
দিশাহীন আমি আজও
খুঁজি হারানো চন্দ্রকপোত।
গেছোব্যাঙ তর্জনী
উচিয়ে বিদ্রোহ করেছিল
___________________________
অতঃপর
নীল খামের ঠায় হলো
আরশোলাদের সেলে
চাঁদ যে ধর্ষিতা
হয়েছিল কোন সাঁঝের বেলায় ভুলে গেছে সবে
গেছোব্যাঙ তর্জনী
উচিয়ে বিদ্রোহ করলেও-
আশরাফুল মাখলুকাত
সব নিশ্চুপ!
চাঁদ যে বেধবা, প্রেতশিলা আগলে রেখেছিল শেষ অবদি
কে জানতো একদিন
আগলে রাখা সম্ভ্রমে টান পড়বে?
জোস্নাসমুদ্রে
ডানা ভাঙ্গা পাখির মতো আস্ফালনে-
চাঁদ ধর্ষিতা
হয়েছিলো জোস্নাসমুদ্রে।
কপালিনী হয়ে উঠা
হলো না চাঁদের,
অতঃপর সমস্ত
ব্যাথা নীল খামে ভরে
বেঁধে নিলো আঁচলে
এরপর রাত আর
রাত...
কারো অপেক্ষা
ছিলনা তার অবশেষে
অবলুণ্ঠিত চাঁদ সব ছেড়ে একদিন আকাশ পথে গেল।
No comments:
Post a Comment