কৌস্তুভ দে
সরকারের গুচ্ছ কবিতা--
আনাচ-কানাচ
-------------------------------------------------
বুঁদ হয়ে থাকে মন
ডানা । দিক শূন্য ভোর । দাবদাহ প্রতিটি মুহূর্তের আমার, তোর । ভেজা বলতে ছাদের আস্ফালন । শিকারি আকাশ ।
ঘন বলতে এটুকুই বুঝি। ইঞ্চির মতো করে নরক। ফাঁক । নর দেখি
কত । ন ন করে সব
নাক্ষত্রিক চোখ ।
ঘরোয়া চৌকাঠ । তেমাথা । চোখের চামচ থেকে দুফোটা আলোর বিন্দু বিন্দু
চমচম পাঠ । পর্দা বেজে ওঠে । ধানক্ষেত । সুরাইয়া ভোলার গান । লেবু-তোলা ওইদিক থেকে ঘুরে
আসে সঙ্গমের চোর । প্রাক্তন বলতে কোনও স্রোত শরবত হয়ে হেসে ওঠে । সেই লগ্ন থেকে বসে বসে বাসস্টপ ভাবনাই ভালো । চকলেট
ভাবলেই চাবিকাঠি ভোর হয়ে উঠতে পারে না । এ নয়ন ডরে ডরে । গ্রন্থির পাঠরতা দাবীটির
কারুকাজ একটি ডালের মধ্যে রেখে দাও । রেখে দিলে সে তো ফুল । সে তো এক সোঁদাচরণ গান
।
ভ্রু-পালঙ্কে
লজ্জা তুলে রাখা। লজ্জারা কত বেইমান ।
------------------------------------------------------------------
সপ্তপদী
----------------------------------------
১)
দুঃখের নিমিত্ত
জন্যকে ডাকি
ফেবুর লকেট খুলে
রাখি
তুমি কেন আলকাতরা
ভাবো
আমি কি ঈষদুষ্ণ
ভাবে থাকি
২)
পৃথিবীতে যন্ত্রণা
অতি ঘোর
তাই চামড়াতে
চড়ালাম গান
আমি কারো মতো নই
সিগারেট খোর
দুঃখের কথা
ব্র্যাকেটের পাশে আনচান
৩)
প্রচণ্ড ভালোবাসি
সে সুযোগ নিচ্ছ
বারবার
সুযোগ পেলেই তুমি
পটু হয়ে যাও
পাখিদের মতন
আমাদের ইকিড়-মিকিড় সংসার
৪)
ডানাকাটা বলতে কি
বোঝ ?
বললে তো আগুনও
ক্রীতদাস
বলা প্রায় একেকটা ভোর
অসংখ্য বলার ভেতর
আমাদের ফুচকা-মারানি
বসবাস
৫)
পাক খাচ্ছে
ডালিমের হাওয়া
নাভির ভেতর
শিরদাঁড়া
ফুঁড়ে যাচ্ছে, উড়ে যাচ্ছে হাঁস
নির্ঘুম রাতের
কড়ানাড়া
৬)
দাগ টানলেও সীতা
যে পলায়
চুরি করে নিয়ে যায়
চোর
আমাদের হিজিবিজি
পাঠ
বিপর্যস্ত ওঁ
সূর্যমন্তর
৭)
বদলে নেওয়ার নাম
ঘুম
ঘুন কাটে ধূম পড়ে
দুরুহ দুস্তর
পারাপারগুলি বেজে
ওঠে
আহত পাখির খুব জ্বর
No comments:
Post a Comment