হিমাদ্রি
বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা--
কবির জরায়ু আছে
এক দুরন্ত সময়
বইছে অধুনা
অনল দাবড়ায় কোন
দূর দারুশ্রেণীর গভীরে
চিৎকার ক'রে বলে---
সব শেষ হয়ে যাবে,
প্রতিবেশী গাঁয়ে
লুঠেরারা রাজাকার
হয়ে ইজ্জ্ৎ লুটেছে
জলার এধারে
মুমুর্ষু শিশুকে দেখে
শকুনিরা ভোজের
প্রতীক্ষায় ব'সে
"বাড়ি যাবো" ব'লে
দলে দলে
বুভুক্ষুরা শ্রেষ্ঠ পথিক হয়ে গ্যাছে
রেললাইনে
ছিঁড়েকুটে প'ড়ে আছে পরিযায়ী লাশ।
আর ঘুম ভাঙ্গবে না
কারো !
মানুষ পড়ছে, তারা মরছে
সভ্যতা জ্বলছে, সে পুড়ছে
সামাজিক দূরত্ব
সামাজিকতাকে নিরঞ্জন করেছে আতঙ্কে।
এক দুরন্ত সময়
বইছে অধুনা।
কিন্তু কবিতারা
আছে
রোজ রোজ জন্ম নেয়
কবিতার ভ্রূণ
কবির গভীর গর্ভে কবির জরায়ু আছে।
যতদিন আছে, ততদিন স্বপ্ন আছে
সত্যি করার তৃষ্ণা
আছে
কবিতার গুটি
শুককীট থেকে প্রজাপতি হয়ে
উড়ছে বাগানে
বাগানে।
বয়কট
বয়কট চাই না কখনও
একই গ্রহে সকলেই
একই প্রজাতি
এ ওর গা-এ গা ঘষি
পরম আদরে
জিভ দিয়ে চাটি না
কদাপি।
তুমি খাদ্য দাও
আমি দেবো নির্মল
অমৃত পানীয়
তোমরা আদর দিলে
আমি এঁকে দেবো ঠিক
অক্ষয় চুম্বন
ললাটে কপোলে আর
নিখুঁত চিবুকে।
একই গ্রহে একই
প্রজাতীর
সহবাস, সমবাস সমাদর চাই।
সারমেয় নই
একজন অন্যজন দেখে
বুক্কনের রোল তুলে
দেবো
একই অণু পরমাণু বয়
শোণিতে মজ্জায়।
কিন্তু যদি
সেঁকোবিষ
গুলে দাও
লঙ্গরখানায়
তবে ঐ লকলকে জিভ
লোল হতে দেবো না
কিছুতে।
তোমাকে বয়কট ক'রে
চ'লে যাবো ভিন্ন পরিবারে
নতুন আত্মীয়
বানাবো।
দিয়ে-নিয়ে মানুষের
অস্তিত্ব বাঁচাবো।
এইভাবে মিথ্যে
সহবাস
কখনও মানায় না, জানি, ময়ালে-মানুষে।
No comments:
Post a Comment