তিনটি কবিতার শৃঙ্খলায় নির্বাচিত কবিদের কবিতা--
পাপ সিরিজ /
সোনালী মিত্র
মৃত ঈশ্বর মুখ
পেটের আগুন গিলে
নিয়েছে অতীত
খিদের কোনও লৌকিক
সমাজ থাকে না
থাকে না পয়সার
কোন ধর্ম - জাত।
সাদা ব্লাউজের
মসলিনপর্দায় কালো অন্তর্বাস ফিতে
লোলুপ গিলে নিচ্ছে
তামাম শহর...তামাম জীবন্ত আগুন
রাতের এক- একটা
দানব ট্যাক্সি ধেয়ে আসছে
হরিণী ধরা বাঘের
মত
সিটে চেপে বসতে
পারলেই শরীর কখন যে
ছোট খোকাখুকির ভাত
হয়ে যায় !
ভাত আর লিঙ্গের
মাঝখানে আমৃত্যু থাকে
ঈশ্বরের মৃতমুখ...
ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা
লোকটার বড্ড খিদে
পায়।
সে চেটেপুটে
খেয়েছে কামদুপুর
এখন পড়ে আছে, নিথর ছোট্ট তুলতুলে শরীর
যেন বাঘে খাওয়া
হরিণের ছানা।
বড্ড খিদে পায়...
লজেন্স খাবে
খুকুমণি?এই দেখো পকেটে ভর্তি ললিপপে,এই নাও।
আরো দেবো ঘরের
ভিতরে যদি আস!
গেম খেলার মোবাইলও
আছে।নেবে!
শিখিয়ে দেবো সব
খেলা।শিখিয়ে দেবো ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা,
সুড়সুড়ি...
সুড়সুড়ি।খুব মজা হবে।
মা কে বলবেনা
কেমন!
বড্ড কষ্ট হচ্ছে
সোনামণি?এই হয়ে এল।আর একটুখানি ...
আহা শিহরণ... ঝিম
ঝিম
বলবেই মাকে?ওরে সর্বনাশ ...
খুব খিদে
পায়।বয়োবৃদ্ধ বাঘ খায় কামছবি খায় কামদুপুর
কচি মাংসের সাথে
খায় প্রাণবায়ু ।
লোকটার বড্ড খিদে
পায়।
নিথর শরীর খেয়ে
ধুয়ে ফেলে দাঁতে লাগা বিকৃত কামকষ ।
উচ্চতা
লাস্ট-বেঞ্চ কোনও উচ্চতা দেয় না বিদ্যার্থীকে
ক্লাস নাইনে অজস্র
শূন্য পেয়ে এই সত্য বুঝেছিল অজয় মিশ্র ।
আরও বুঝেছিল হেরে
যাওয়াদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়
হন্যে হয়ে গন্তব্য
খুঁজতে ঝরঝরে একটা ইঞ্জিনকে
এরপর বয়ে নিয়ে
যেতে হবে শুধু ।
অথচ , প্রথম বেঞ্চগুলি পর্যাপ্ত অক্সিজেনের উপভোক্তা
মিথেনবলয় ভাঙতে
ভাঙতে তারা কেউ উড়ে যাবে আকাশের মেঘদেশে।
কেউ বা স্যালাইনের
মধ্যে ঢুকে সুস্থ শব্দ লিখে ঈশ্বর হয়ে উঠবেন।
যারা রকেটবিজ্ঞানে
পাড়ি জমাবেন বিদেশে তারা
সংবাদ শিরোনামে
ফুল হয়ে ফুটে থাকবেন।
এসব থেকে দূরে সরে
থাকা অপদার্থ নম্বরের সংখ্যাগুলি
ঘুমের মধ্যে
রক্তবীজের মতো গজিয়েই
বিদ্রোহ ঘোষণা করে
দেয়
কেন যে দেয়!কে যে
তাদের জাগায়! কেন যে জাগায়!
হাতের
সদ্যযুবকশিরা সাপের ফণার মতো লাফায়।
ফার্স্টবেঞ্চের
ছেলেটির গলায় রুমালের ফাঁস লাগানোর সময়
কে যেন রক্ত থেকে
চিৎকার করে বলে - শাবাশ
মুখের ফ্যানায়
ভিজে যায় কব্জি , পাতা ভিজিয়ে বৃষ্টি নামে
নোংরা শরীর ভেজে , ঘুম পায়,ঘুম পায়,মনে হয় স্বপ্নের জগত…
besh manograhee kabita
ReplyDelete